সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক তোমাদের বসে চোখ বন্ধ করে এক মিনিট নীরব থেকে ধ্যানের মাধ্যমে ঈশ্বরের উপস্থিতি উপলব্ধি করতে বলবেন। তোমরা শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করো কিন্তু। দেয়ালিকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন— কর্ক শিট/আর্ট কাগজ, আঠা, পোস্টার কাগজ, মার্কার, সাইন পেন, ইত্যাদি সম্ভব হলে সঙ্গে করে নিয়ে যেও। একান্ত নিতে না পারলে সমস্যা হবে না শিক্ষকও তোমাদের দিতে পারবেন।
শিক্ষক তোমাদের কয়েকটি দলে বিভক্ত করে দিবেন। তোমরা তোমাদের প্রত্যেকের সংগৃহীত ধারণাসমূহ, ছবি, বাইবেলের পদ, গল্প, কবিতা, সাক্ষ্য, ঘটনা, ছবি, ইত্যাদি যা কিছু রয়েছে সব কটি কীভাবে দেয়ালিকায় সাজাবে দলগতভাবে তার একটি পরিকল্পনা করবে। প্রয়োজনে শিক্ষকের কাছ থেকেও পরামর্শ নিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তোমার দলের কাজ শেষ করবে। দেয়ালিকার কোন স্থানে তোমার দলের তথ্য উপস্থাপন করবে তা শিক্ষক নির্ধারণ করে দিতে পারেন। সেভাবেই দেয়ালিকাটি সম্পন্ন করবে।
তোমরা চাইলে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক তোমাদের তৈরি দেয়ালিকাটি উদ্বোধনও করাতে পারো। তবে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে রাখতে হবে। দেয়ালিকাটি অন্যান্য শ্রেণির খ্রীষ্টধর্মের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারো। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের ফিডব্যাক নেয়ার ব্যবস্থা রাখলে তোমরা পরবর্তী সময়ে আরও সুন্দরভাবে কাজটি করার নির্দেশনা পাবে।
তোমরা খুব মনোযোগ সহকারে কাজটি কোরো কিন্তু। দেখো তোমাদের সম্পাদিত অসাধারণ সৃষ্টিশীল কাজটির জন্য সকলের কাছে প্রশংসিত যেমন হবে তেমনি নিজেরাও খুব আনন্দ পাবে।
অর্পিত কাজ
খ্রীষ্টধর্ম সেশনে, গির্জায়/চার্চে, কোনো উপাসনা বা সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রাপ্ত শিক্ষা, অনুভূতি, অনুপ্রেরণা ইত্যাদি ছবি, গল্প, অনুচ্ছেদ, ডায়েরিতে লিখে অথবা অন্য যে কোনো উপায়ে নিয়মিত সংরক্ষণ করবে। শিক্ষক হয়তো কিছুদিন পরপর কাজটি দেখতে পারেন। তিনি যদি নাও দেখেন তাও কোরো। দেখবে একসময় তোমার এ লেখাগুলো পড়ে তোমার নিজেরই ভালো লাগবে।
সমগ্র বিশ্বের শান্তি কামনায় প্রার্থনা করে শিক্ষক তোমাদের কাছ থেকে বিদায় নিবেন।
আরও দেখুন...